রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের চার অঞ্চলে গণভোট শেষ হয়েছে। আজ বুধবার (২৮শে সেপ্টেম্বর) ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে বেশিরভাগ বাসিন্দারা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট প্রদানের আভাস পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এসব অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া প্রশাসন এ কথা জানিয়েছে।

পাঁচ দিনের কথিত গণভোটের পর এ ফলাফলের কথা জানানো হয়। ইউক্রেন ও দেশটির মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো এই গণভোটকে প্রহসন আখ্যা দিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তড়িঘড়ি করে চারটি অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করা হয়। সেগুলো হলো- পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝিয়া ও খেরসন। এই চারটি অঞ্চল ইউক্রেনের গোটা ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ।

লুহানস্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগ করা প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ৯৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার।

খেরসনে ভোটগ্রহণ কমিটির প্রধান বলেছেন, রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট পড়েছে প্রায় ৮৭ শতাংশ। স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, ওই অঞ্চলের ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোটারই রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

চারটি অঞ্চলের সব ভোট গণনা করা হয়েছে। এসব অঞ্চলের বাস্তুচ্যুত লোকজন রাশিয়ায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ প্রাথমিক গণনার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ৯৬ শতাংশের বেশি ভোটার মস্কোর শাসনাধীনে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন।

এই ফলাফলের ভিত্তিতে এসব অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ­াদিমির পুতিন। এরপর এসব অঞ্চল পুনর্দখলে ইউক্রেনের প্রচেষ্টাকে রাশিয়ার নিজ ভূখণ্ডের ওপর হামলা বলেই চিত্রিত করতে পারেন তিনি। তবে এসব ভূখণ্ডকে যুক্ত করার বিষয়ে রাশিয়ার প্রতি বারবার সতর্কতা উচ্চারণ করে ইউক্রেন বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ শান্তি আলোচনার যেকোনো সুযোগ ধ্বংস করবে। এই গণভোট আয়োজনে যেসব ইউক্রেনীয় রাশিয়াকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।